অবৈধ পিরিয়ডে মৃত্যু হলো ঢাবি শিক্ষার্থীর

– মারুফ আহমেদ
নিজস্ব প্রতিবেদক, চুদক

“আমার প্যান্টে এত ব্লাড কেন! পুটকিতে এ কি হচ্ছে আমার!” -এই ছিলো ঢাবি’র ফিলোসফি ডিপার্টমেন্টের ২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রিদোয়ানের শেষ আর্তনাদ! অতঃপর ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সে।

ফিলোসফি বরাবরের মতই একটি দূর্দান্ত সাবজেক্ট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিলোসফি ডিপার্টমেন্টের মত প্রাণোচ্ছল শিক্ষার্থী খুব কমই দেখা যায় অন্যান্য ডিপার্টমেন্টে! তবে পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে এই ডেপ্টের শিক্ষার্থীরা কিছু অবৈধ সমস্যায় পড়ে যান। যেমনঃ ছেলেদের মধ্যে কেউ কেউ গে হয়ে যায়, পাছার বাল কাটেনা, কেউ কেউ হস্তমৈথুনে আক্রান্ত হয়ে চ্যামের দশা দূর্দশা করে ফেলে। অনেকের আবার পিরিয়ড শুরু হয়ে যায়!

এমনই এক ডিপার্টমেন্টে ২০-২১ সেশনে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায় কিশোরগঞ্জের ভোদা উপজেলার বাসিন্দা রিদোয়ানুল হক্ব ওরফে পিরিয়ড-রিদোয়ান। ২০শে জানুয়ারী, ২০২২ এ সে ঢাবির বিখ্যাত স্যার এ.এফ রহমান হলের প্রেসিডেন্ট ক্যান্ডিডেড কাউছার ভাই ওরফে বিড়িবাবা কে বলে উঠে পড়ে।

হল-এ রিদোয়ানের সাথে অবস্থানকারী তার বন্ধুদের মতে, রিদোয়ান হল-এ আসার পর থেকেই তার বেডে সর্বদা লাল রঙয়ের তরল-প্রোডাক্ট দেখা যেত। প্রতিরাতে বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী “তাহিয়াত” নামের কারো সাথে ভিডিওকলে কথা বলতো। অতঃপর উদ্ভট কিছু উহহহহ-আহহ টাইপের শব্দ উচ্চারণ করে ধীরে ধীরে সে নেতিয়ে পড়ত। এভাবেই দিনরাত চলতো। গোপনসূত্রে আরও জানা যায়, হল-এ আসার আগে থেকেই নাকি রিদোয়ানের রেগুলার পিরিয়ড হত! চান্স পাওয়ার আগে রিদোয়ান নাকি গে-আড্ডায় গুরু ছিলো!

এভাবেই সে গত ২০শে জুন, রোজ রবিবার সে দূর্দান্ত পিরিয়ডের শিকার হয়ে মৃত্যু বরণ করে। স্যার এ.এফ রহমান হলের ১১১ নম্বর রুমের কোণায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রিদোয়ানের মৃত্যুঘটনা সঠিকভাবে উদঘাটন করতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সুপারভাইজার অসীম তালুকদার জানান, ❝তার প্যান্ট খুলে যৌনাঙ্গ হতে নটরাজ কোম্পানীর পুরাতন লম্বা পেন্সিল উদ্ধার করা হয় যেটা অনেকদিন ধরে ব্যবহার করা হচ্ছিলো।❞ তার প্যান্টে সাদা রঙয়ের গাড় ধাতব পদার্থও পাওয়া যায় -জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির প্রবীণ সদস্য মইনুল ইসলাম ওরফে ফাকিং-মইনুল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *