প্রেমের বয়স কেবল সংখ্যায় বেড়েছে। মনে হচ্ছে, এই তো ক’দিন আগেই লুকিয়ে লুকিয়ে দেখা, পরিবারের বড়দের কড়া শাসনের ভেতর দিয়েও গোপনে চিরকুট আদান-প্রদান, একটু একটু প্রেম আর আকাশের মত সীমাহীন ভালোবাসা নিয়ে চোখের দিকে তাকিয়ে থাকা! দেখতে দেখতে এভাবেই পেরিয়ে গেলো ৪টি মাস। প্রেমটা হয়েছিলো ক্যাম্পাসেই। আকাশের পাখনা ভেদ করে সেদিন নেমে এসেছিলো মেঘনীলিম। বসন্তের ফুলে তখন নতুন কলি। হঠাৎ-ই পাখি গেয়েছিলো সুখের সংগীত। এরকম বসন্তের দিনে চোখে চোখ পরা! তারপর, ধীরে ধীরে সময় পেরিয়ে বৈশাখী রঙ মাখালো গালে এবং তা বর্ষার জলে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেলো। বলছিলাম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাকরিম আহমেদ এবং প্রিয়ন্তী দেবনাথের কথা। প্রেমের বন্ধনে অটুট তারা। তাই দেরি না করে দীর্ঘ ৪ মাসের এই যাত্রাকে একটি নতুন মাত্রা দিতে বিয়ের পিড়িতে বসতে যাচ্ছেন এই জুটি! কিছুদিনের মধ্যেই শোনা যাবে বিয়ের সানাই। এ ব্যাপারে তাকরিম আহমেদের শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে, জনাব আহসান হাবিব বিপু বলেছেন, “আমরা এই ব্যাপারে আর দেরি করতে চাই না। কিছুদিন পর ভারতে উচ্চতর শিক্ষা লাভের জন্যে পাড়ি জমাতে পারি, তাই যাওয়ার আগে এরকম একটি শুভক্ষণের স্বাক্ষী হতে চাই।”
প্রিয়ন্তী দেবনাথের পক্ষে, জনাব শ্রেয়শ্রী সরকার জানান, “ছেলে-মেয়ে দু’টোই আমার ভীষণ পছন্দের। ওদের একসাথে দেখতে পারাটাও চোখের শান্তি!”
জানা গেছে, চলতি মাসের ৩৫ তারিখে জমজমাট আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিয়ের আসরে বসতে যাচ্ছেন তাকরিম-প্রিয়ন্তী। বিয়েতে দুই পক্ষের সমস্ত আয়োজনের দায়িত্বে থাকবেন, জনাব মামদুদ রহমান মুক্ত।