বন্দর নগরী চট্টগ্রামের প্রানকেন্দ্র চাক্তাই খাতুনগঞ্জ ব্যাবসায়িক এলাকা নিবাসী মোঃ আকরাম। যিনি অত্র এলাকায় ছোট সাহেব নামে ও ময়দানে ডি মারিয়া নামে পরিচিত। আকরামের দীর্ঘ ৬ বছরের ফুটবল ক্যারিয়ারে শৈল্পিক খেলার কারণে তার অনেক সুনাম ছিল। কিন্ত, সম্প্রতি বিগত ২/৩ সিজন ধরে ময়দানে আকরামের খেলায় পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। সে তার রেগুলার শৈল্পিক খেলা পরিহার করে, এগ্রেসিভ মানসিকতায় খেলতে গিয়ে ইদানিং লাল কার্ড খাওয়ার মত গেজা মারছে। যার দরুন বিপক্ষ দলের খেলোয়াড়েরা ইঞ্জুরির কবলে পড়ছে। এই ইঞ্জুরির সুযোগ নিয়ে আকরাম সিরিজ খেলার আমন্ত্রন জানিয়ে, বিপক্ষ দলকে হারানোর নীলনকশা আকছে।
আজ বিকাল ৪.৩০ ঘটিকায় ফিশারীঘাট বালুর মাঠের প্রীতি ম্যাচে ক্যাপ্টেন সাদাবের ইন্ধনে আকরাম আবারো তার মূল শৈল্পিক খেলা ভূলে গিয়ে এগ্রেসিভ খেলা খেলতে গিয়ে বিপক্ষ দলের অভিজ্ঞ সিনিয়র প্লেয়ারকে বেশ কয়েকটি ফাউল করে। ধারণা করা হচ্ছে, রেফারি থাকলে আকরাম এই ম্যাচে ৩ টি লাল কার্ড খেতো। রেফারি ও কার্ড না থাকার সুযোগ নিয়ে, সরি বলে আকরাম তার এগ্রেসিভ খেলা চালিয়ে যেতে থাকে।
এদিকে নাম প্রকাশ না করা, বিপক্ষ দলের সিনিয়র প্লেয়ারের ভক্তবৃন্দরা তীব্র আপত্তি ও সমালোচনা করলে, চাক্তাই ক্রীড়া বোর্ড তদন্ত করে আকরামকে দোষী সাব্যস্ত করেছে৷
ভক্তবৃন্দরা, আকরামকে নিষিদ্ধ করার দাবী জানালেও, চাক্তাই ক্রীড়া কমিটি আকরামের আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য দেয়ার জন্য নোটিশ পাঠাবে বলে জানালো।
ওই খেলার অন্য এক সিনিয়র সদস্য শান্তু দেব কে জিজ্ঞাসা করা হলে, শান্তু দেব জানান, ” ক্যাপ্টেন সাদাবের ইন্ধনে আকরাম এই ধরণের কাজ করার সাহস পেয়েছে। আমি এর চেয়েও বড় কালপ্রিট মনে করি পুরান হুজুর (ফয়সাল) কে। তার খেলার মধ্যে যথেষ্ট ভুল আছে বলে আমি মনে করি। আকরামকে নয়, আমি ফয়সালকে আজীবন নিষিদ্ধ করার দাবী জানাই৷ কারণ আগে আমাদের মধ্যে এইসব নোংরা খেলা ছিলোনা। এইসবের অবিষ্কারক হল এই ফয়সাল। তাকে নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি জরিমানা করা হোক!”।