অনলাইনে নিজেকে সরকারি কর্মকর্তা পরিচয়ে মেয়েদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলতেন। একপর্যায়ে নানা ছলনায় ভুলিয়ে তাদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে ভিডিও ধারণ করতেন। এরপর আপত্তিকর সেসব ছবি পরিবারের কাছে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করেন। এভাবে গত ৮ বছরে প্রায় শতাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ব্ল্যাকমেইল করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়েছেন রংপুরের বদরগঞ্জের মোস্তাফিজার রহমান বরাত।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় বরাতকে গ্রেফতারের পর পুলিশ বলছে, যুবতীদের টার্গেট করতেন বরাত। বরাতের ফোনে পাওয়া গেছে ৮ হাজার আপত্তিকর ছবির সন্ধান। তার এই প্রতারণা থেকে বাদ যায়নি তার স্বজনরাও।
মাস তিনেক আগে রাজধানীর যাত্রাবাড়ির এক মেয়েরর সঙ্গে রংপুরের বরাত ফেসবুকে পরিচয় হয়। বিয়ের প্রলোভনে ওই মেয়ের গোপন ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগে থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী মেয়ে। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গোয়েন্দা রংপুর বিভাগ উপকমিশনার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আমরা সত্যতা পেয়েছি। তার মোবাইলে এবং ইমো, ওয়াটসঅ্যাপে বিভিন্ন আপত্তিকর ছবি পেয়েছি। গত আট বছরে শতাধিক মেয়েরর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। বরাত মধ্যবয়সী মেয়েদের টার্গেটে করে এ ধরনের প্রতারণার কাজ করে আসছিল।
তিতি বলেন, ছবি দেখিয়ে প্রতারণার পর নিজেই পুলিশ সেজে সহযোগিতার কথা বলে আবারো টাকা হাতিয়ে নিতেন বরাত। টাকা না দিলে পরিবারকে সব তথ্য ফাঁস করার হুমকিও দেয়া হতো।