নীলফামারীর সৈয়দপুরের বাসিন্দা তারিক আজিজ। পড়েছেন এক স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের ৪র্থ বর্ষে অধ্যায়নকালীন সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয় লাবণ্য নামের এক কিশোরীর সাথে। পরিচয়ের মাধ্যমেই জানতে পারেন লাবণ্য একই এলাকার বাসিন্দা এসআই হিরো আলমের কন্যা।
এরই মধ্যে একদিন লাবণ্যকে তার চাপা প্রেমের কথা জানান তারিক। প্রথমে প্রেমে সাড়া না দিলেও পরবর্তীতে লাবণ্যর আড়াই বছরের প্রেমিক অন্য এক সুন্দরী মেয়েকে বিয়ে করায় লাবণ্য ফিরে যান আজিজের কাছে। প্রথমে তারিক ভয় পেয়ে প্রেমে ‘না’ করে দিলেও পরবর্তীতে লাবণ্যর একটু মিষ্টি কথায় তারিকের পুরণো প্রেম জেগে ওঠে। চুটিয়ে ছ’মাস প্রেম করার পর জানতে পারেন লাবণ্য একাধিক ছেলের সাথে সম্পর্কে জড়িত। এরপর থেকে নাওয়া খাওয়া বাদ দিয়ে লাবণ্যের সাথে প্রেমের বিরহে খুবই কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন তারিক। তার কথা মতে এমন কোনো মুহূর্ত নাই যখন লাবণ্যর কথা মনে পড়ে না তার।
আমাদের রিপোর্টার মুঠোফোনে তারিক আজিজের সাথে কথা বলে এ ব্যাপারে তথ্য জানার চেষ্টা করলে তিনি জানান “ভাই প্রথম প্রেমিকা ছেড়ে যাওয়ার পরও এত কষ্ট পাইনি যতটা কষ্ট এই উনিশ বছরের প্রেমিকা দিয়ে গেলো! আমি এর বিচার চাবো কার কাছে? ওর বাপই তো পুলিশ! কিছু করতে গেলে জেলে ভরে দিবে না তার কোনো গ্যারান্টি আছে নাকি! ” এই বলে ফোন কেটে দেন।
তারিকের বাল্যবন্ধু সালমানের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে সে জানায় ‘এই বাইংসোদকে বারবার বলসিলাম মেয়ের কন্ঠ শুনে মনে হয় মেয়ে মারাত্নক ঝগড়াটি, ওর সাথে সম্পর্কে জড়াস না, ওর থেকে হাজার গুন ভালো মেয়ে পরিবার থেকে খুজে দেবে শোনে নি। এখন বুঝুক কষ্ট!’
এ ব্যাপারে লাবণ্যর সাথে অতি শীঘ্রই যোগাযোগ করা হবে বলে জানিয়েছেন কতৃপক্ষ।