ইস্ট ডেল্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র যখন রিকশা চালক
“চট্টগ্রামে প্রাইভেট টিউশনিতে পয়সা কম, তাই প্রতিমাসের শেষ সপ্তাহে শহরে রিকশা চালাই।”
রিকশার প্যাডেল ঘোরাতে ঘোরাতে খুব সহজেই এ কথাগুলো বললেন এমডি শাহরিয়ার লাবিব। ইস্ট ডেল্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে অধ্যায়নরত এই শিক্ষার্থী প্রায় ১০ বছর ধরে এভাবেই নিজের পড়াশেনার খরচ যোগাড় করছেন। গত মাসের শেষ সপ্তাহে জিইসি থেকে জামালখান যাওয়ার পথে তিনি আরোহী প্রতিবেদককে জীবন যুদ্ধের এই গল্প শোনান।
লাবিব জানান, চট্টগ্রামে নবম-দশম বা একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র- ছাত্রী প্রাইভেট পড়ালেও মাসে দুইশ টাকার বেশি পাওয়া যায় না। অথচ চট্টগ্রামে প্রতিদিন রিকশা চালিয়ে তিনি প্রায় হাজার টাকা আয় করেন।
লাবিব বলেন, ‘এক্ষেত্রে শারীরিক পরিশ্রমটা একটু বেশিই হয়। কিন্তু সৎ পথে থেকে কম সময়ে এত টাকা আয় করার অন্য কোনো উপায় আমি পাইনি।’ এরপরও লাবিবের আক্ষেপ যে তিনি শুধু টাকার অভাবে বোনদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘অনার্স’ পড়াতে পারেননি। বাধ্য হয়ে এখন তারা বাড়ির পাশের কলেজে ‘ডিগ্রি’ পড়ছেন। এসএসসি পাশ করার পরই মনির প্রতি মাসের শেষ সপ্তাহে চট্টগ্রামে রিকশা চালানো শুরু করেন। সেই থেকে এখন পর্যন্ত তিনি শুধু হিলভিউ এক নম্বরের নাজিম মিয়ার গ্যারেজের রিকশাই চালান এবং ওই গ্যারেজেই থাকেন।
লাবিব বলেন, “এই কাজটি কখনোই আমার খারাপ লাগেনি। কাজ তো কাজই। আমি তো আর চুরি-ছিনতাই করছি না।” কয়েক বছর আগে মাস তিনেকের জন্য চাকরিও করেছিলেন লাবিব। কিন্তু পরীক্ষার আগে ছুটি না পাওয়ায় তিনি সেটি ছেড়ে দেন। লাবিব আরো জানান, এ বছরের মাঝামাঝি সময়ে অনার্স শেষ হওয়ার পর তিনি বিসিএস পরীক্ষা দেয়ার প্রস্তুতি নেবেন।
দয়া করে ছবিটা সবাই শেয়ার করবেন প্লিজ